Monday, 1 April 2013

খিস্তি খাস্তা ৩

খচ্চরের মত দাঁতভাঙ্গা গালাগাল দিতে দিতে আমি নদীপথ পার হয়ে যাই,
অবোধ্য বাতাসের মত শুকনো সেপাইয়ের দল আমাকে আটকাতে চায়-
আমার মুখে চাপা দেয় আতর দেওয়া রুমাল,
অথচ সব স্বাক্ষী-সাবুদ শেষ হয়ে গেলে সমাজ আমাকে শুওরের বাচ্চা বলে ডাকে.
এই তো তোমার মসৃন মেদবহুল দেহের উপর যখন আমার বীর্য্য ঝরে পড়ছে-
ঠিক সেই সময় মুখ বিকৃত করে তুমি অকারণ শীত্কার করে চলেছ-
কিন্তু আমি জানি যেটা তুমি বীর্য্য ভোলে ভাবছ সেটা আসলে আমার মুত্র.
সমস্ত সমাজের মুখে আমি আজ মুতে দিছি-
মুতে দিছি বালাসাহেব ঠাকরের পাঞ্জাবি র পকেটে-
মকবুল ফিদা হুসেনের দাড়িতে-
পয়গম্বর রা ও মুততেন, যেমন মোতেন বিশ্বসুন্দরী রা.
আমার মুত্রথলিতে তোমার ব্যাটনের আঘাত লেগেছে-
দাঁত এ দাঁত চেপে আমি মুত্ছি.... রক্তময় মুত্র...লাল..ঠিক যেন তোমার সিঁথি র সিন্দুর.
আর আমার মুখে উঠে আসছে দাঁতভাঙ্গা গালাগাল...
আজ আমাদের বড় শুভদিন-
আমাদের সিংহাসনে চর্জ্যাপদে অনুক্ত বোকাচোদা রা বসে বসে বিচি দোলাচ্ছেন-
আমরা তাঁদের পোঁদ এর কাছাকাছি নাক নিয়ে নি:শ্বাস বন্ধ করে বসে আছি আর আতরের গন্ধ-
প্রাণ ভরে অনুভব করছি যেমন তোমার যোনিতে জিভ লাগানো র আগে অনুভব করে থাকি.
তোমার সমাজ থেকে ক্যাকটাস ছিঁড়ে নিয়ে আমার গলায় পুরে দিছ-
আর আমি বিষন্ন বানচোত এর মত উপেক্ষিত নারীসমাজ কে নিয়ে কাগজে ঘষে চলেছি-
আর আমার মনে উঠে আসছে কিছু দাঁতভাঙ্গা গালাগাল.
আমার তরাই থেকে সুন্দরবনের গরান গাছে-
আমার তিস্তা নদী র পিছল পাথরে-
আমার বৃষ্টি র মত ভেজা সবুজ ঘাসবনে-
আমার শেষ বিকেলের শীতের রোদে-
আমার রক্ত - মল - মুত্র - কফে-
স্থলে জলে বনে জঙ্গলে -
শুধু ই হাঁড়ি কাঠে অবধ্য ক্ষনিকের বোকাচোদা র দল ঘোরাঘুরি করে.
ঈশ্বর-
তুমি এদের ক্ষমা কর- নাহলে এতদিন বাদে বলতে ই হবে-
তুমি ও একটি উচ্চশ্রেনীর বোকচোদ.

No comments:

Post a Comment