Monday, 1 April 2013

সুররিয়াল কবিতা ১

সহস্র সূর্যের তেজে ফেটে পড়বে অভ্যাসের দাস,
এত তেজ ধরবে না তেজপাতা-
বস্তুত: পাযুছিদ্রে বাঁশ-
গুঁজে থাকে ভেবে নিয়ে ওষ্ঠাগত তরুবর কায়া-
ওয়াশিং মেশিনে যদি দাসী কাচে রংচটা সায়া.
এইসব সংবাদ সঞ্জয় কি বলেছিল ধীরে?
কখন ঘামের গন্ধে দমবন্ধ সূচিভেদ্য ভিড়ে.
অথবা বাতানুকুল কামরায় নরম আবেগে-
রক্তিম চক্ষু নিয়ে যোগাভ্যাস সারারাত্র জেগে.
তবু ও মর্মে লাগে ভয়-
পাসপোর্ট যদি বলে এ জহর সে জহর নয়-
তবে কি কলঙ্কিনী নিষ্ঠুর বাদাম পাটালি-
আহারান্তে ধুতিপ্রান্তে তরল প্রনয় দিবে ঢালি?
মসিকৃষ্ণ অন্ধকারে আলোর প্রলেপ দেব বঁধু,
পিচকিরি সামলায়ে বেগন স্প্রে করে দিও শুধু.
হাহাকারে অশেষ বেদনা,
পটলের দোলমায় রেপসীড ঢালিতে সেধোনা.
মনে রেখো ধনেপাতা বিপ্লবী হয়ে যেতে পারে-
ল্যামিনেট করে তবে পান শুরু কোরো মৃত্ভাঁড়ে.

প্রেমের কবিতা ২

টেবিল আমার চারকোনা,
টেবিল ক্লথ ও ছাড়বনা,
চেয়ার পেতে দিচ্ছি তোমায়-
আনকোরা.
পল্লী হোক বা পরগনা,
হৃদয় আমার করগোনা,
তোমায় দেখে শিরায় শিরায়
মন্দুরা.
এসব শরীর মিথ্যে নয়,
চৌকোনা বা বৃত্তে নয়,
তোমার ত্রিভুজ আমার কাছে-
শালগ্রাম.
ফুল দিয়ে বা বেলপাতায়,
চাকদা, কাঁথি, কলকাতায়,
বৃষ্টি পড়ে শুকনো বুকে-
মসিনরাম.
খাতার সরু মার্জিনে,
আর তোমাকে ছাড়ছি নে,
ধরার আগে ই আঁকড়ে ছিলাম-
জল পাহাড়,
ক্রন্দসী বা পাতাল হোক,
তোমার প্রেমে মাতাল হোক,
তোমার খিদে য় এখন আমার-
স্বল্পাহার.

বাজে বকবক ৭


কাট্রিনা কাইফ থেকে ধাত্রীদেবতা-
সকলের মাঝে আছি আমি,
তোমাদের মাঝে থেকে রোববারে নর্দমায় নামি.
বিনাযুধ্ধে ছাড়িব না সূচ্যগ্র ঘাস - নারী- জমি,
ন্যাংটো দেব দেবী নমি-
ছড়াবো হালকা পীত বমি.
কামিনী কাঞ্চন প্রভু,
সে সব তো যৌনকেশ সম,
কুঞ্চিত, প্রগলভ, বিবর্ণ পান্ডুলিপি মম.
হস্তে বাজারের থলে,
তাতেও আমার উপস্থিতি,
একদিন শূন্য ছিল, আজ আগুনের মত সিঁথি.
ধৃতরাষ্ট্র ভাবলেশ,
রাত্রির জেস্চারে কাম,
ভগিনী সম্প্রদায় ভুলে যায় তারুণ্যের দাম.
"আজ শুধু অঙ্কুরিত জানি কাল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাতা "-
উদ্দাম বীর্জ্যপাতে ভেজাবে গৃহস্থের কাঁথা.
শুক্রানুর মাঝে শুনো  আমার গুরুগম্ভীর ধ্বনি-
রক্তফেনামাখা মুখ-
মড়ক বা ইঁদুরের খুনি.

বাজে বকবক ৬


ভীষণ বজ্রপাতে টিউব লাইট জ্বলে ওঠে-
সনাতন ধর্ম ছেড়ে-
আমি উঠে পড়ি বেশ্যাদের মেহগনি খাটে.
আমার শিশ্ন হয় অন্ধকারে লাইট হাউস,
আমার নিপুন হাতে উঠে আসে বেগুনি ব্লাউস,
কা তরুবর পঞ্চবি ডাল-
যোনিতে উপ্ত হয় জীবনের বীজ,
পরিধেয় সাফল্যের ছাল.
নগর বাহিরিবে ডোম্বী তহার কুঁড়িয়া-
মহাকাল জেগে ওঠে ভ্রুমধ্য ফুঁড়িয়া.
শীত্কার চিত্কার কলোনি জুড়িয়া-
বেজে ওঠে.
আমি মুখ লুকোলাম বেশ্যার খাটে.

বাজে বকবক ৫


স্বপ্নের মাঝে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তলপেটে চাপ-
নিয়েও স্মৃতিচারণ করতে-
আনন্দ পাই.
যেমন আনন্দ পাই তোমার তলপেটে হাত রেখে,
অথবা সামান্য দূরে কুকুরের সিগন্যাল-
শুনে যেমন আনন্দ পায় ভাদ্দুরে রোদ.
ইতোমধ্যে আমার ব্ল্যাডারের গায়ে-
গুহামানবেরা আলতামিরার ষাঁড় এঁকে ফেলেছে.
মধ্যপদলোপী নপুংসকের মত-
আমি দুই পায়ে হেঁটে চলে যাই-
পেচ্চাবখানায়.
আজি ঝরঝর মুখর হিসির তোড়ে-
রাতকানা চাঁদ ডোবে কুয়াশা ভোরে.
তারপর যে কে সেই-
চুপসানো ব্ল্যাডারের ফাঁদে-
কিছু জল ঢেলে তোমার মুখের কথা ভাবি.
ডার্লিং, তোমার মুখের -
অবয়ব-
স্বপ্নের সুন্দরী পৃথুলা রমনী-
বুক পেট গলা পাছা যোনি-
সব ভেদ করে দুয়ারে করাঘাতায় বমি-
বিবমিষা-মোনালিসা এক হবে-
বাসন্তী বমির প্রকোপে.
শিশ্ন ঢুকে বসে থাকে পায়রার খোপে.
তারপর শান্তির হেঁচকি তুলে-
শান্ত  হবে অলৌকিক রাত.
আবার স্বপ্নে ডুবে যেতে হবে বলে ব্ল্যাডারের কাছাকাছি থাকি.
নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকার রাতে -
শিশ্ন হবে লাইটহাউস .

বাজে বকবক ৪


এইখানে শান্তিতে এস ছায়ায় যেখানে মানুষের পদচিহ্ন
পৃথিবীর শিকড়ে শিকড়ে অভিস্রবণ থেকে রস নিয়ে
মাটির উপর দেখাবে তোমার প্রতিফলিত গার্হস্ত্য মুখ.
এইখানে মাটির গভীরে হাত রাখো যার দিশাহীন
কন্দর্পসম সুখ ভাবাবেগে নারায়ণী সেনা অস্ত্র ফেলে
নারীর শরণে আসে গোপনে, ক্রিস্টালাইন ভোরে.
এইখানে সময়োচিত বয়স্ক  মহীরুহে বাতাসের বাক্যগুলি
মেদুর শূন্যতাকে অনন্তের গভীরে পাঠাতে পারে,
দেওয়াল তোলার মত সাবলাইম কুয়াশা ঝরিয়ে.
এইখানে মন্দুরায় বাঁধা থাকি আমি আর কাঁচের কফিনে
শোয়া তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত অথচ বাস্তবিক প্যাসনেট
চর্জ্যাপদে বর্ণিত মানবীর মত গুড়ো প্রেম.

বাজে বকবক ৩

কলঙ্কিনী বসুধা তোর বুকের মাঝে অনেক খানি আকাশ থেকে-
হঠাত ই এক টুকরো ছিঁড়ে খেতে দিলাম ক্ষুত্পিপাসায়-
কাতর কোনো অবাঞ্ছিত রোম এর মত জীর্ণ শিশুর হাতে,
সুন্দর তোর মসৃন থাই দেখতে ভালো আমার কাছে যার পেটে ভুখ-
তার কাছে তুই মাংসের এক দোকান শুধু ছুরি দিয়ে -
কাটলে যত রক্ত পড়ে গেলাস ভরে রেড ওয়াইন ভাবি.
দেহের উপর অনেকখানি চাদর দিয়ে ঢাকলে কত বিভঙ্গ, ভাঁজ,
অনেক চোদাচুদির পরেও জীর্ণ শিশুর পাঁজরা গুলো ভুলতে পারিস-
শরীর তোকে অনেক সেলাম, মাংশ কেটে খাবার বানাই দাঁড়া.
কার গাড়িতে কতটা তেল, কার সাথে পাশ কার ঘরে ফেল-
এসব শুধু ঢ্যামনা বিলাস, তাই ভেবে দ্যাখ দুই বেলা তোর দুধের ছেলের-
পাঁজরা গোনে শকুন কিছু, হারিয়ে গেলে ঠুকরে দু চোখ নেবে.
বসুধা তুই মা হয়েছিস, বেঁচে আছিস সন্তানদের দেহাবশেষ বুকের ভিতর-
লুকিয়ে রেখে, তার চে কেটে বিলিয়ে দে তোর স্তন থেকে মেদ-
বাঁচুক শিশু শোণিতে তোর, যোনি তে তোর জন্ম নেবে নতুন সময়.

খিস্তি খাস্তা ৩

খচ্চরের মত দাঁতভাঙ্গা গালাগাল দিতে দিতে আমি নদীপথ পার হয়ে যাই,
অবোধ্য বাতাসের মত শুকনো সেপাইয়ের দল আমাকে আটকাতে চায়-
আমার মুখে চাপা দেয় আতর দেওয়া রুমাল,
অথচ সব স্বাক্ষী-সাবুদ শেষ হয়ে গেলে সমাজ আমাকে শুওরের বাচ্চা বলে ডাকে.
এই তো তোমার মসৃন মেদবহুল দেহের উপর যখন আমার বীর্য্য ঝরে পড়ছে-
ঠিক সেই সময় মুখ বিকৃত করে তুমি অকারণ শীত্কার করে চলেছ-
কিন্তু আমি জানি যেটা তুমি বীর্য্য ভোলে ভাবছ সেটা আসলে আমার মুত্র.
সমস্ত সমাজের মুখে আমি আজ মুতে দিছি-
মুতে দিছি বালাসাহেব ঠাকরের পাঞ্জাবি র পকেটে-
মকবুল ফিদা হুসেনের দাড়িতে-
পয়গম্বর রা ও মুততেন, যেমন মোতেন বিশ্বসুন্দরী রা.
আমার মুত্রথলিতে তোমার ব্যাটনের আঘাত লেগেছে-
দাঁত এ দাঁত চেপে আমি মুত্ছি.... রক্তময় মুত্র...লাল..ঠিক যেন তোমার সিঁথি র সিন্দুর.
আর আমার মুখে উঠে আসছে দাঁতভাঙ্গা গালাগাল...
আজ আমাদের বড় শুভদিন-
আমাদের সিংহাসনে চর্জ্যাপদে অনুক্ত বোকাচোদা রা বসে বসে বিচি দোলাচ্ছেন-
আমরা তাঁদের পোঁদ এর কাছাকাছি নাক নিয়ে নি:শ্বাস বন্ধ করে বসে আছি আর আতরের গন্ধ-
প্রাণ ভরে অনুভব করছি যেমন তোমার যোনিতে জিভ লাগানো র আগে অনুভব করে থাকি.
তোমার সমাজ থেকে ক্যাকটাস ছিঁড়ে নিয়ে আমার গলায় পুরে দিছ-
আর আমি বিষন্ন বানচোত এর মত উপেক্ষিত নারীসমাজ কে নিয়ে কাগজে ঘষে চলেছি-
আর আমার মনে উঠে আসছে কিছু দাঁতভাঙ্গা গালাগাল.
আমার তরাই থেকে সুন্দরবনের গরান গাছে-
আমার তিস্তা নদী র পিছল পাথরে-
আমার বৃষ্টি র মত ভেজা সবুজ ঘাসবনে-
আমার শেষ বিকেলের শীতের রোদে-
আমার রক্ত - মল - মুত্র - কফে-
স্থলে জলে বনে জঙ্গলে -
শুধু ই হাঁড়ি কাঠে অবধ্য ক্ষনিকের বোকাচোদা র দল ঘোরাঘুরি করে.
ঈশ্বর-
তুমি এদের ক্ষমা কর- নাহলে এতদিন বাদে বলতে ই হবে-
তুমি ও একটি উচ্চশ্রেনীর বোকচোদ.

খিস্তি খাস্তা ২

আমি নর্দমা র জল থেকে রুহ আফজা পান করে থাকি-
আমার বিরিয়ানি ডাস্টবিন থেকে গরমাগরম উঠে আসে-
কুকুরের মত তোমাদের সাথে বসে ডালভাত খেতে আমার ঘেন্না হয়-
বিগত ৩০ বছর আমার পাকস্থলিতে যতটুকু হাইড্রক্লোরিক আসিড জমেছিল-
সব তোমাদের পৌষ্টিক নালিতে উগরে দিয়ে যাব।
উর্বর হবে তোমার চারণভূমি-যে ভূমিতে ঈশ্বরের বিষ্ঠা মেখে তুমি তোমার সন্তানের রক্ত পান কর-
আমার বিষ্ঠায় আমি নৈবেদ্য মেখে দেব তোমাদের ঈশ্বরের মুখে,
আর অপত্য বরাহের মত তুমি নিজের মা কে বলাত্কার করবে-
যেমন করে যাও-প্রতিনিয়ত-অহরহ-
যেমন নিজের সহোদরার ক্ষুদ্রান্ত্রের কাটলেট খেয়ে ঢেঁকুর তোলো শব্দ করে-
যেমন নিজের শিশ্নাগ্রে গোলাপ ফুল গুঁজে প্রেম নিবেদন করো-
যেমন নিজের অন্ডকোষে তিলক বা বোরখা অথবা দড়িবাঁধা ক্রস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াও।
তোমাদের ঘেন্না করে করে আমি বীর্জ্যত্যাগ করতে ও ভুলে যাই-
ভুলে যাই আমি তোমাদের মায়ের জরায়ুতে কোনদিন সাঁতার কেটেছি-
ভুলে যাই আমি তোমাদের শক্ত জমিতে নিজের ঔরসে বুনে দিয়েছি তোমাদের ই জগত।
আজ তোমরা যে স্থাবর মাটিতে রক্ত-মুত্র-বিষ্ঠায় মাখামাখি হয়ে দাঁড়িয়ে আছ-
একদিন সেখানে ই তোমাদের ইন্দ্রপ্রস্থ বানিয়েছি আমি.
ভেঙ্গে দেব-
ভেঙ্গে দেব তোমাদের এই প্রাসাদের - এই অট্টালিকার চূড়া-
তোমাদের স্লেজ হ্যামারের আঘাতে একটা একটা করে আমার হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার যে যন্ত্রণা-
তোমাদের ই ফিরিয়ে দিয়ে যাব। তোমাদের করোটি ফেটে বেরোনো হলুদ রঙের ঘিলু-
আমার বাটার স্কচ আইসক্রিম.
তোমাদের নারীদের ধর্ষনজাত শীত্কার আমার ব্রহ্ম সঙ্গীত।
তোমাদের কেটে নেব অন্ডকোষ আমার পেপার ওয়েট।
দারিদ্র্যসীমার সীমাহীন নিচে দাঁড়িয়ে আমি অপেক্ষা করছি -
কখন এই পিরামিড তা উল্টে দিয়ে তোমাদের মাথার উপর দাঁড়িয়ে আমি মূত্রত্যাগ করব।

বাজে বকবক ২

এক পেগ হয়ে গেলে উঠে যেতে হবে-
তরল সন্ধ্যেবেলা ডুবিয়েছি - পেটের ভেতরে-
নরম আলোর দল- কোথায় গিয়েছ সঞ্চারী?
সবুজ তোমার চুলে শুওপোকা ধরতে বেরোব.
তোমার রেশম চুলে সবুজ ধানের দ্বীপ-
লাল কোনো পেয়ালা দেখেছি-
লাল কোনো বাস্তবে তোমার সবুজ মিশে যায়-
লাল পায়ে হাঁসেদের ডিমের ডালনা খোঁজে জিভ.
এনফিলিশের মত কত রাত রক্ত দিয়েছি-
নিশীথ দানবী তুমি-
নিশীথে গোপনে এস ঘেমে-
শিরদাঁড়া বেয়ে বেয়ে উঠে এস উরগ মানবী,
তোমার উরুর চকমকি ঘষে জ্বলে গোল্ড ফ্লেক.
সন্ধ্যা তরল হলে গেলাসে গেলাসে ঘাম ভরি-
দুটি গোলার্ধ জুড়ে শীতল মেদের মত হাওয়া,
বারমুডা ট্র্যান্গেলে জাহাজ ঢোকার পথ খোঁজে-
পশমি অন্ধকার-
বারুদের স্তুপে বসে আছি.

কামুক কবিতা ২

জানিনা তোমার নাম এ কতগুলো সিলেবেল ছিল,
শুক্লা পঞ্চমী র চাঁদ নেমে আসে যেখানে তরাই-
আইভরি উরু থেকে গভীরের অপ্রশস্ত পথে-
হাজার শুক্রানুর সাথে একত্রে সাঁতরাতে চাই।

রজ:স্বলার রক্তে ভিজে ভিজে শিশির সাবেকি-
বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে, জোনাকি র ফরমাশ বশত:-
চোখের ফোকাল লেংথ এ ঝাপসা নগ্নিকা র মত-
শঙ্খিনী পয়োধর - উষ্ণতার কেন্দ্রে হাত রাখি।

মনোক্রোম হয়ে যাওয়া চিকুর - চঞ্চল এক ছাদে-
কখনো ভাবনা থেকে স্পর্শ করা-মরালীর গ্রীবা,
অদম্য শরীরী বিভঙ্গের জ্যামিতিক রেখা,
শরীরে শরীরে কোনো ফিউসন জাগানো প্রতিভা .

তোমার নামের থেকে সিলেবেল আজো ভাগ করি -
সুন্দরী-
শুধু পঞ্চমীর চাঁদ আমার ছাদের ঘরে আসে-
গ্রীবা থেকে উরু সেই আইভরি শুক্রানু মাখে-
বিজ্ঞাপনে চোখ রেখে শরীরে শরীরে সাঁতরাই।

কামুক কবিতা ১

সেই তো তোমায় কাটছি ছুরি দিয়ে-
ধর্ষণের ও অনেক বছর পরে,
তোমার মনে যখন সন্ততি,
ভিড় করেছে কামুক সম্মতি-
তখন তোমার প্রাপ্য আমার ছুরি-
রুপোলি ধার তোমার চামড়া ছুঁয়ে.
গভীর হলে রক্ত চুঁয়ে পড়া-
সেসব দেখা আজকে ভাবি cliche -
ইস্পাত ব্লেড কিম্বা তুখোড় বিষে-
তোমার প্রেমের এইত সবে শুরু,
ধর্ষণ-প্রেম-কাম এসব ই মেঘে-
রক্ত দিয়ে ক্যানভাসে রং করা.
চামড়া তোমার রেশম যেন পাতা-
তোমার মাথায় স্যুভেনির এর শোভা-
অভ্যন্তর তোমার মনোলোভা-
হালকা ছুরির ছন্দে শিল্পকলা,
ভালই এত বেসেছিলাম বলে-
রক্তে সাজাই তোমায়, রজ:স্বলা.

বাজে বকবক ১

"স্থলে জলে বনে জঙ্গলে যেখানে ই মানবদেহ দেখিবে, আমাকে স্মরণ করিবে"-
এই বলে ইস্পাতের বিচ্ছুরণে আলোর রামধনু দেখিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল আমার ধারালো ছুরি . 
রক্তের রামধনু দেখে দেখে আমার আর চোখ জ্বালা করে না, মাখনের মধ্যে-
ছুরি চালানোর মতই আজকাল আমি মধ্যচ্ছদা ফুঁড়ে দিতে পারি নির্মম আনন্দে . 
আনন্দ-এত নির্মম-তবু নির্মল . 

এই নির্মম আনন্দে দধীচি হয়ে গেলে আমার হাড় খুলে ইস্পাত ভেঙ্গে নিও আগামী প্রজন্মে .